সকল সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র
সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন সায়াহ্নে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের উপজেলা, জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বা বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে বা হ্রাসকৃত মূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নিমিত্ত সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে প্রদত্ত নিয়মিত সরকারি বরাদ্দের বাইরে মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার প্রয়োজনে অর্থ বছরের শুরুতে এ মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে এবং উক্ত অর্থ থেকে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দেশের সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪% অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৫’ (সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক) এর আওতায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র
০২। হাসপাতালে ভর্তি: উপজেলা, জেলা, বিভাগে অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভর্তি হতে পারবে এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হবে এবং উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব না হলে ছাড়পত্রের মাধ্যমে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালে বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যাবে। উক্ত জেলা সদরে অবস্থিত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব না হলে ছাড়পত্র প্রদান করা যাবে বা ছাড়পত্র নিয়ে বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে বা ভর্তি হতে পারবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসা প্রদান সম্ভব না হলে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে বা ভর্তি হতে পারবে। তবে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বা বিশেষ প্রেক্ষাপটে যে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে। বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে নিম্নোক্ত হাসপাতালসমূহ বিবেচিত হবে :
(১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকা;
(২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(৩) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা;
(৪) স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা;
(৫) জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(৬) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা;
(৭) জাতীয় কিডনী ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(৮) জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা; (৯) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(১০) জাতীয় বক্ষব্যধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(১১) ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস হাসপাতাল, ঢাকা;
(১২) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা;
(১৩) শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা; এবং
(১৪) শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, গোপালগঞ্জ।
হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রমাণক দাখিল: অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তির পূর্বে বা চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণক দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এ (www.molwa.gov.bd) মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা বা গেজেটের যে কোন একটিতে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হলে এ চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্য হবেন। উক্ত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম না থাকলে দাখিলকৃত প্রমাণসমূহ পরবর্তীতে সঠিক নয় মর্মে বিবেচিত হলে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বিধায় প্রদত্ত সুবিধার সমপরিমাণ অর্থ চিকিৎসা গ্রহণকারীর নিকট থেকে আদায় করতে হবে।
সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র
০৩। চিকিৎসা সেবা প্রদান: হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহসহ সর্বোত্তমভাবে সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। সকল ধরনের চিকিৎসা পরামর্শ, শল্য চিকিৎসা, হাসপাতাল কর্তৃক সরবরাহযোগ্য ঔষধ, বেড সরবরাহ, পথ্য এবং নার্সিং ইত্যাদি চিকিৎসা সেবার অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে হাসপাতালে প্রদত্ত নিয়মিত সরকারি বরাদ্দের অতিরিক্ত চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হলে এ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করা যাবে। উল্লিখিত চিকিৎসা সুবিধা শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাকে প্রদান করা যাবে।
০৪। চিকিৎসা ব্যয় মওকুফ ও ছাড়পত্র প্রদান: হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা ব্যয় মওকুফপূর্বক ছাড়পত্র প্রদান করা হবে। চিকিৎসা ব্যয় মওকুফের ক্ষেত্রে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাগণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্য হবেন। তবে সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাগণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধার পরিবর্তে স্বল্প মূল্যে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। মুক্তিযোদ্ধা সচ্ছল বা অসচ্ছল কিনা তা নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার আয়কর পরিশোধ সংক্রান্ত প্রমাণক যাচাই করতে হবে। কোন মুক্তিযোদ্ধার আয়কর সংক্রান্ত করদাতা সনাক্তকরণ সংখ্যা (ইটিআইএন/টিআইএন)থাকলে তিনি সচ্ছল হিসেবে গন্য হবেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে টিআইএন নেই বা আয়কর সংক্রান্ত কোন প্রমাণক নেই মর্মে সাদা কাগজে লিখিত ঘোষণাপত্র সংগ্রহ করতে হবে। উক্ত ঘোষণা পত্রের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে অসচ্ছল হিসেবে বিবেচনাকরত: বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
০৬। চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ: মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বছরের শুরুতে বা প্রয়োজনে পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় থেকে হাট-বাজারের ৪% আয় হতে সংশ্লিষ্ট সকল হাসপাতালের অনুকূলে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যানুপাতে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তহবিল সংকট বা অন্য কোন অজুহাতে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা সেবা প্রদান কোনভাবেই ব্যাহত করা যাবে না।
০৭। চিকিৎসা সেবার মান ও ব্যয় যাচাই: হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোত্তমভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে কিনা বা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ বিধি বিধান অনুসরণ পূর্বক সঠিকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই-বাছাই বা নিরীক্ষা করা যাবে। এ লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে নিম্নরূপ কমিটি গঠন করা হলো। উক্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা যাচাইপূর্বক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। কমিটি হবে নিম্নরূপ:
(১) উপজেলা পর্যায়ে কমিটি :
(ক) | উপজেলা নির্বাহী অফিসার | সভাপতি |
(খ) | উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা | সদস্য |
(গ) | স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ভারতীয় তালিকা/লালমুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সদস্য; একজন মুক্তিযোদ্ধা) | সদস্য |
(ঘ) | উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর প্রশাসক বা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা কমান্ডারের – সদস্য; প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভারতীয় তালিকা/লালমুক্তিবার্তাতালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা) | সদস্য |
(ঙ) | উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা | সদস্য সচিব |
(২) জেলা পর্যায়ে কমিটি :
(ক) | অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) | সভাপতি |
(খ) | আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি | সদস্য |
(গ) | উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় | সদস্য |
(ঘ) | প্রশাসক, জেলা পরিষদ এর প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট জেলার ভারতীয় তালিকা/লালমুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত – সদস্য; একজন মুক্তিযোদ্ধা) | সদস্য |
(ঙ) | জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর প্রশাসক বা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা কমান্ডারের সদস্য; প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট জেলার ভারতীয় তালিকা/লালমুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা) | সদস্য |
(চ) | ডেপুটি সিভিল সার্জন | সদস্য সচিব |
(৩) বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি (ঢাকা মহানগর ব্যতীত)
(ক) | অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার | সভাপতি |
(খ) | মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক | সদস্য |
(গ) | সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়রের প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারতীয় তালিকা বা – সদস্য লালমুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের অবর্তমানে স্থানীয় মনোনীত প্রতিনিধি) | সদস্য |
(ঘ) | বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর প্রশাসক বা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান এর প্রতিনিধি (ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা)। | সদস্য |
(ঙ) | সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বিশেষায়িত হাসপাতালের একজন উপপরিচালক পদমযাদার কর্মকর্তা | সদস্য সচিব |
(৪) ঢাকা মহানগরীতে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল/ বিশেষায়িত হাসপাতালের কমিটি:
(ক) | স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন কর্মকর্তা (ন্যূনতম যুগ্মসচিব – সভাপতি পর্যায়ের) | সভাপতি |
(খ) | সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ বা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক | সদস্য |
(গ) | মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (ন্যূনতম উপসচিব পদমর্যাদার) | সদস্য |
(ঘ) | মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল/প্রশাসক এর প্রতিনিধি (ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তিবার্তা – সদস্য; তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা) | সদস্য |
(ঙ) | সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বিশেষায়িত হাসপাতালের একজন উপপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা | সদস্য সচিব |
৮। নিরীক্ষা কার্যক্রম: সরকারি বিধি বিধান মোতাবেক চিকিৎসা বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় রাজস্ব নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করতে পারবেন। নিরীক্ষা প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে এবং অর্থ ব্যয়ে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
০৯। আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা: মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ নিম্নোক্ত ছকে বর্ণিত কর্মকর্তা আয়ন-বায়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন:
ক্রমিক | বিবরণ | আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার পদবী |
০১। | উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স | উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা; |
০২। | জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল | সিভিল সার্জন; |
০৩। | সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল | পরিচালক বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি; |
০৪। | বিশেষায়িত হাসপাতাল | হাসপাতালের প্রধান বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি। |
সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.